টক-মিষ্টি জাম্বুরা লবণ-মরিচ দিয়ে মাখিয়ে খেতে ভীষণ ভালো লাগে!
এর সালাদ বা জুস বানিয়েও খাওয়া হয়। এটি লেবু গোত্রের ফল হলেও এর স্বাদ অনেকটা
আঙুরের মতো! জাম্বুরা ফল হিসেবে যেমন চমত্কার তেমনি এর পুষ্টিগুণও ব্যাপক!
জাম্বুরার প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যযোগ্য অংশে রয়েছে –
খাদ্যশক্তি- ৩৮ কিলোক্যালরি শর্করা- ৯.৬ গ্রাম খাদ্যআঁশ- ১ গ্রাম চর্বি- ০.০ গ্রাম
আমিষ- ০.৭ গ্রাম থায়ামিন- ০.০৩৪ মিলিগ্রাম রিবোফ্লেভিন- ০.০২৭ মিলিগ্রাম
নিয়াসিন- .২২ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি৬- ০.০৩৬ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি- ৬১ মিলিগ্রাম
আয়রন- ০.১১ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম- ৬ মিলিগ্রাম ম্যাংগানিজ- ০.০১৭ মিলিগ্রাম
ফসফরাস- ১৭ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম- ২১৬ মিলিগ্রাম সোডিয়াম- ১ মিলিগ্রাম জিংক- ০.০৮
মিলিগ্রাম রক্তনালির প্রদাহ কমাতে জাম্বুরার জুড়ি নেই! এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে
পটাশিয়াম। যা হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এর ভিটামিন সি ও বি
দাঁত, ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। জ্বর, মুখের ঘা ইত্যাদি
সারাতে জাম্বুরা সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ও পাকস্থলীর রোগ প্রতিরোধে
জাম্বুরা সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
8. তাল এর ঔষধি গুণাগুণ
তাল কচি ও পাকা দুই অবস্থায়ই খাওয়া যায়। তাল যেমন নানাভাবে খাওয়া
যায়, তেমনি তালের পুষ্টিগুণও অনেক। কী আছে পাকা তালের প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যযোগ্য
অংশে রয়েছে- খাদ্যশক্তি ৮৭ কিলোক্যালরি জলীয় অংশ ৭৭.৫ গ্রাম আমিষ .৮ গ্রাম চর্বি
.১ গ্রাম শর্করা ১০.৯ গ্রাম খাদ্য আঁশ ১ গ্রাম ক্যালসিয়াম ২৭ মিলিগ্রাম ফসফরাস ৩০
মিলিগ্রাম আয়রন ১ মিলিগ্রাম থায়ামিন .০৪ মিলিগ্রাম রিবোফ্লাভিন .০২ মিলিগ্রাম
নিয়াসিন .৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি ৫ মিলিগ্রাম তাল কিভাবে খাবেন তালসত্ত্ব : তালের
রস ও চিনি দিয়ে বানানো হয় তালসত্ত্ব। তালের জুস : তালের রস, দুধ, চিনি দিয়ে জুস
বানানো যায়। ডায়াবেটিক ও হৃদরোগীরা চিনি না দিয়ে খেতে পারবেন। তালের পিঠা : তালের
গোলার সঙ্গে ডিম, চালের গুঁড়া, গুড় বা চিনি এবং কখনো নারিকেল দিয়ে তালের পিঠা
বানানো হয়। তালের কেক : কেকের সব উপকরণের সঙ্গে তালের রস মেশানো হয়। তালের কেকের
মধ্যে চিনি কম এবং ডিমের সাদা অংশ ব্যবহার করলে ডায়াবেটিক ও হৃদরোগীদের জন্য ভালো
খাবার হতে পারে। কাঁচা তালের রসের বরফিও তৈরি করা হয়। শুধু তালের শাঁস আলাদাভাবেও
খাওয়া যায়। উপকারিতা => তাল অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণসমৃদ্ধ হওয়ায় ক্যান্সার
প্রতিরোধে সক্ষম। এ ছাড়া স্বাস্থ্য রক্ষায়ও তাল ভূমিকা রাখে। স্মৃতিশক্তি ভালো
রাখে। => তাল ভিটামিন বি-এর আধার। তাই ভিটামিন বি-এর অভাবজনিত রোগ প্রতিরোধে
তাল ভূমিকা রাখে। => তালে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস আছে, যা দাঁত ও হাড়ের
ক্ষয় প্রতিরোধে সহায়ক। => কোষ্ঠকাঠিন্য ও অন্ত্রের রোগ ভালো করতে তাল ভূমিকা
রাখে। কারা খাবেন না => যাঁরা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন তাঁরা ডিমের কুসুম ও দুধ
থাকে এমন তালের খাবার খাবেন না। => যাঁদের ডায়াবেটিস কিংবা কোলেস্টেরল বেশি
তাঁরা তালের পিঠা খাবেন না।